ডাইনিং সাজাতে ঝাড়বাতি
জমিদারি নেই, তা বলে কী ঝাড়বাতিও নেই? কিন্তু এখন পুরো উলটো। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে রাজকীয় ভাবটা এখন আবার ফিরে আসছে। তাই শোওয়ার ঘর, বসার ঘর, খাওয়ার ঘর ছাড়িয়ে স্নান ঘরেও ঝাড়বাতির অনায়াস গতিবিধি।
দিনের আলো নিভলেই প্রতি বাড়িতে কৃত্রিম আলোর রোশনাই। সাধারণত, টিউবলাইট ও বাল্বের রমরমা। কিন্তু যাঁরা শৌখিন, তাঁরা আলো নিয়ে নানা ইনোভেশন করে থাকেন। আর তাঁদের এই ইনোভেশনে ঝাড়বাতির জুড়ি মেলা ভার। আসলে ঝাড়বাতির মধ্যে একটা অভিজাত্য রয়েছে ।
বসার ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই করে ঝাড়বাতি লাগান । যদি বড় হল ঘরে ধরিত্রীর ছোঁয়া আনতে চান, সোনা বা ব্রঞ্জের তৈরি ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন। আবার যদি আপনার ঘরের রঙে নীল ও সাদার কম্বিনেশন থাকে, তবে সিলভার বা ব্ল্যাক ফিনিশ ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন।
ক্রিস্টাল শ্যান্ডেলিয়ার বা ঝাড়বাতি ডাইনিং রুমের সাবেকিয়ানাকে ধরে রাখে। খেয়াল রাখবেন, ডাইনিং টেবিলের থেকে যেন ঝাড়বাতি বড় না হয়। আর দেওয়াল থেকে যেন ৪ ফুট দূরে থাকে ।
পছন্দ হয়ে গেল আর ঝাড়বাতি কিনে ফেললেন, এটা কখনই করবেন না। ঘরের মাপ অনুযায়ী ঝাড়বাতি কিনবেন। যদি বড় হল ঘরে ছোটো মাপের ঝাড়বাতি লাগান, তবে তা যেমন মানাবে না, অন্যদিকে ছোটো ঘরে বড় মাপের ঝাড়বাতি একেবারেই বেমানান।
কোনও কিছুকেই লাইটলি নেবেন না । ছোট্ট কয়েকটা দিক মাথায় রেখে নানা রকমের নানা সাইজ়ের ঝাড়বাতি পছন্দ করে কিনে ফেলুন। নিজের শিল্পরসিকতার পরিচয় তুলে ধরুন সকলের কাছে।
এম ইউ