দেশে বিদেশে’র দুইদিনব্যাপী ‘আনন্দ-উৎসব’ এর সফল সমাপ্তি
টরন্টো, ৭ মার্চ- কানাডার প্রথম বাংলা পত্রিকা, বহির্বিশ্বের প্রথম বাংলা অনলাইন ‘দেশে বিদেশে’র ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘আনন্দ-উৎসব’ এর সফল সমাপনী হয়ে গেলো। গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি মেট্টো টরন্টো কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কানাডার বিভিন্ন শহর থেকে ছুটে এসেছিলেন দর্শকরা। এসেছিলেন যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর থেকেও। অনুষ্ঠান দেখে সবাই অভিভূত। অনেকেই বলেছেন দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তারা এতো সুন্দর আয়োজন দেখেননি। যেমন ছিল চোখ ধাঁধানো মঞ্চ, তেমনি ছিল আলোক সজ্জা এবং সাউন্ড। ‘আনন্দ-উৎসব’ শেষ হয়ে গেলেও কমিউনিটিতে এখনও আলোচনার বিষয়বস্তু দেশে বিদেশে’র অনুষ্ঠান।
দেশে বিদেশে’র ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ বিশাল আয়োজনকে ঘিরে গত ৪ মাস ধরে টরন্টোর সাংস্কৃতিক অঙ্গন ছিল মুখরিত। বিশেষ করে তরুণরা। ‘তারুণ্যের অগ্রাধিকার’ শ্লোগান নিয়ে তরুণদের নিয়েই ছিল বেশিরভাগ আয়োজন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যান্ড ছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য থেকে এসেছিলেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা শাপলা সালিক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন বাউল শিল্পী তাজুল ইমাম এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন গণমুখি গানের শিল্পী হায়দার হোসেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন মনট্রিয়লের জনপ্রিয় শিল্পী দেবপ্রিয়া কর রুমা, মনিকা রশিদ ও অনুজা দত্ত। অটোয়া থেকে এসেছিলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী নাসরিন শশী। দেশে বিদেশে’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন শহর থেকে সাংবাদিক, সাহিতি্যক এবং কমিউনিটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন টরন্টোর এক ঝাঁক জনপ্রিয় শিল্পীবৃন্দ। এরপরপরই মঞ্চে আসেন আয়োজক কমিটির চীফ কনভেনর স্বপ্ন দাস। শুভেচ্ছা বক্তবে্যর মাধ্যমে তিনি সবাইকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানিয়ে দেশে বিদেশে’র প্রধান সম্পাদক নজরুল মিন্টোকে মঞ্চে আহবান জানান। মিন্টো তাঁর বক্তৃতায় অনুষ্ঠানের থীম ‘তারুণে্যর অগ্রাধিকার’কে কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের বংশধররা এখন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত; অতএব নতুন প্রজন্মের হাতে কমিউনিটির দায়িত্ব তুলে দিন। তিনি তরুণদেরও দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এসময় তিনি আনন্দ-উৎসব কমিটির ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর আঞ্জুমান ভূঁইয়া বীথিকার হাতে মাইক্রোফোন তুলে দেন। বীথিকা অনুষ্ঠানের আয়োজকবৃন্দ, দর্শকবৃন্দ এবং পৃষ্ঠপোষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সবাইকে অনুষ্ঠান উপভোগ করার আমন্ত্রণ জানান। শুরু হয় তরুণদের পরিবেশনা। এ পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে ময়ুখ, মোহনা, রুপল, স্পন্দন এবং সাদি। এরপর ছিল ম্যাজিক শো। ম্যাজিক দেখাতে কুইবেক সিটি থেকে এসেছিলেন বাংলাদেশি বংশদ্ভুত ফারহানুল ইসলাম। দর্শকরা তার ম্যাজিক উপভোগ করেন।
এই প্রথম টরন্টোর ৫টি নাচের স্কুলের শতাধিক নৃত্যশিল্পীদের দেখা গেছে একই মঞ্চে। এরা হলো: অরুণা হায়দারের সুকণ্যা নৃত্যাঙ্গণ, নুসরাত জাহান উর্মির উর্মি স্কুল অব ড্যান্স, শিপ্রা চৌধুরির আনন্দধারা ড্যান্স একাডেমি, বিপ্লব কর-এর নৃত্যকলা কেন্দ্র ও সেলিনা আহমেদ ঝর্ণার সাজ ড্যান্স একাডেমি। প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর কলকাকলীতে অনুষ্ঠান মঞ্চ এক বিশাল বাগানে পরিণত হয়। মনে হচ্ছিল পরীরা উড়ে এসে ফুলের বাগানে নাচছে। দর্শকরা তন্ময় হয়ে তাদের নাচ উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে ‘যান্ত্রিক’ এবং ‘শিকড়’ ব্যন্ডের পরিবেশনা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দ্বৈত সংগীত এবং অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে এদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত সাড়ে বারোটায়। সবশেষে নিউইয়র্ক থেকে আগত বাউল শিল্পী তাজুল ইমাম এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হায়দার হোসেন দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের পরিবেশনার মাধ্যমে মাতিয়ে রাখেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে হায়দার হোসেন-গল্প বলার অনবদ্য ষ্টাইল দর্শকরা খুবই উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দিন মূল অনুষ্ঠান সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টায় শুরু হলেও বিকেল ৪টায় শুরু হয় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে বিভিন্ন বয়সী প্রচুর ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন সংগীতা মুখার্জি। তাঁকে সহযোগিতা করেন শ্যামাদাস মুখার্জি। বিচারকমণ্ডলীর প্রধান ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী নীলউৎপল। একই দিন বিকেল পাঁচটায় বাংলাদেশ আর্ট সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার উদ্যোগ অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে ১২জন প্রথিতযশা শিল্পীর ৫০টি চিত্র প্রদর্শণীর উদ্বোধন করা হয়।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সারা বিশ্বের তরুণদের প্রেরণার প্রতীক বৃটিশ-বাংলাদেশি সাবিরুল ইসলাম এর বক্তৃতা শুনতে শত শত দর্শক অপেক্ষা করতে থাকেন। অতঃপর বিকেল সাড়ে চারটায় বৃটিশ-বাংলাদেশি অনুপ্রেরণামূলক বক্তা সাবিরুল ইসলাম মঞ্চে উঠেন। দর্শকশ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাঁর বক্তব্য উপভোগ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জীবনের গল্প দিয়ে দর্শকদের আকৃষ্ট করেন।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কানাডার প্রথম বাংলা পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন চ্যানেল ‘অনাবাসী টিভি’র উদ্বোধন করা হয়। এসময় মঞ্চে আসেন বর্হিবিশ্বের প্রথম বাংলা টিভি চ্যানেল বাংলা টিভি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ সামাদুল হক, জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এস-এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরি, নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত টাইম টেলিভিশন-এর চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং অনাবাসী টিভির কর্মকর্তাবৃন্দ। বড় পর্দায় লগো উন্মোচনের মাধ্যমে অনাবাসী টিভির উদ্বোধনকে দর্শকরা করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান।
এরপর একক নৃত্য নিয়ে মঞ্চে আসেন অবন্তি মুখার্জি। তিনি তাঁর পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অবন্তি’র পরপর মঞ্চে উঠে ব্যান্ড রিফ্লেকশন।
দেশে বিদেশে’র ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘আনন্দ-উৎসব’-এ কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ২৫জন অনাবাসী কৃতী বাঙালিকে মর্যাদাপূর্ণ ডিবি (দেশে বিদেশে) অ্যাওয়ার্ড প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সন্ধ্যা ছ’টায় অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপিপি আর্থার পটস। যাঁদেরকে অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয় তাঁরা হলেন- শিক্ষায় কানাডার ওয়েষ্টার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. অমিত চাকমা, বিজ্ঞানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্রের ড. নুরুন্নবী। ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় বাংলা টিভি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ সামাদুল হক ও টাইম টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবু তাহের। সমাজ সেবা ও মিডিয়ায় চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরি, চ্যারেটি সংগঠন অপটিমিষ্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন চৌধুরি ও চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আলমগীর হাকিম। সাংবাদিকতায় লন্ডনের জনমত পত্রিকার সম্পাদক নবাব উদ্দিন ও কারি লাইফ ম্যাগাজিন সম্পাদক সৈয়দ নাহাশ পাশা। ব্যবসায় টিম হর্টনস-এর সত্ত্বাধিকারি কানাডার ইকবাল রুশদ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সারটেস্ক এর সত্বাধিকারি জয়দেব সরকার। পেশায় ফার্মাসিষ্ট কানন বড়ুয়া ও ব্যারিষ্টার চয়নিকা দত্ত। উদ্যোক্তায় কানাডার মাহবুবা খান, সংগীতে তাজুল ইমাম, পারফর্মিং আর্টস-এ অরুণা হায়দার। অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতায় যুক্তরাজে্যর সাবিরুল ইসলাম। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তাপস দাস।
দেশে বিদেশে’র ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘আনন্দ-উৎসব’-এর প্রধান আকর্ষণ ছিল টেলেন্ট শো। বিগত তিনমাস ধরে শতাধিক শিশু কিশোরদের মধ্য থেকে ৮ জন প্রতিভাবানকে ফাইন্যাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এরা হলো অংকিতা, সোহাম, অর্পিতা, তাপশ্রী, তাহসিন, আসফিয়া, শ্রেয়া ও পরমা। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় তারা একে একে মঞ্চে উঠে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখে। দর্শকরা মুর্হুর্মুহু করতালির মাধ্যমে তাদেরকে স্বাগত জানান।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ছোট্টমণি ইন্দ্রা তার পরিবেশনার দিয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয়। এরপর মঞ্চে এসে আরেক ছোট্টমণি বিনীতা গান গেয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে। এ দুটো পরিবেশনার পর মঞ্চে আসে ব্যান্ড এফওয়াইআই। তারপর সুকন্যা নৃত্যাঙ্গণের শিক্ষার্থীরা দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে। এ পর্বের উপস্থাপনায় ছিলো অহমা।
রাত ন’টায় মঞ্চে আসেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত এ প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পী শাপলা সালিক। তিনি তাঁর পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের দীর্ঘক্ষণ মাতিয়ে রাখেন।
এরপর ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ফলাফল। এ পর্বটি স্পন্সর করে কেএনএস কানাডা। বিজয়ীরা হলো: গ্রুপ এ-তে প্রথম মাহালিপ আশরাফ , দ্বিতীয় আরিত্র কুন্ডু, তৃতীয় আইমান ভূঁইয়া। গ্রুপ বি-তে প্রথম লাবিবা সাহারা, দ্বিতীয় আদিবা জাইমা, তৃতীয় সামিয়া ইসলাম। গ্রুপ সি-তে প্রথম অভিনন্দন কুন্ডু, দ্বিতীয় অর্ণব সুপ্রিত নাথ ও তৃতীয় আহবান ভূঁইয়া। এছাড়াও সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।
আনন্দ-উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রা্যেফল ড্র। এতে প্রথম পুরষ্কার ছিল কানাডা এক্সপে্রস ট্র্যাভেল এজেন্সির সৌজনে্য টরন্টো-ঢাকা-টরন্টো রিটার্ণ এয়ার টিকেট। এ পুরষ্কারটি লাভ করেন সুইস বেকারির সত্বাধিকারী নুরুদ্দিন। দ্বিতীয় পুরষ্কার হিসেবে ছিল কানন ফার্ম্মেসির সৌজন্যে ৫০” এইচডি টেলিভিশন। এ পুরষ্কার লাভ করেন বিশিষ্ট বাউল শিল্পী শাহবুব আহমেদ শাবু। তৃতীয় পুরষ্কার ছিল আইপি ওয়ার্ল্ড-এর সৌজন্যে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার এ পুরষ্কারটি লাভ করেন মৌমিতা।
টেলেন্ট শো’র ফলাফলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। টান টান উত্তেজনায় দর্শকদের ভোটে টেলেন্ট অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয় যৌথভাবে অঙ্কিতা কর্মকার ও সোহম চক্রবর্তী। দ্বীতিয় স্থান অধিকার করে শ্রেয়া সাহা এবং তৃতীয় স্থান দখল করে বড়ুয়া সিষ্টার্স তপশ্রী বড়ুয়া(তবলা) ও অর্পিতা বড়ুয়া(গান)। শুরু থেকেই টেলেন্ট শো’র পরিচালনায় ছিলেন শারমিন শর্মি। চূড়ান্ত দিনে মঞ্চেও তাঁর সাবলীল উপস্থাপনা দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। বিভিন্ন পর্যায়ে টেলেন্ট শো’র বিচারকমণ্ডলীর মধ্যে ছিলেন- আলেয়া শরাফী, বিপ্লব কর, ফারহানা শান্তা, ম্যাক আজাদ, নুসরাত জাহান শাঁওলী, উমামা নওরোজ ঈত্তেলা, রাজিব ও আঞ্জুমান ভুঁইয়া বিথীকা।
দেশে বিদেশের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী আনন্দ-উৎসব এর উপস্থাপনায় ছিলেন রিজওয়ান রহমান, ফারহানা আহমেদ, মাহবুবউল হক ওসমানি ও অজন্তা চৌধুরি।
২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় দেশে বিদেশে’র একটি বিশেষ সংখ্যা। যেখানে গত ২৫ বছরে দেশে বিদেশে’তে প্রকাশিত সেরা ২৫টি লেখা স্থান পেয়েছে। যাদের লেখা স্থান পেয়েছে তারা হলেন: নজরুল মিন্টো, তাজুল মোহাম্মদ, মীজান রহমান, আকতার হোসেন, সদেরা সুজন, মহসীন বখত, মামুনুর রশীদ, মোহাম্মদ আলী বোখারী, সাইফুল আলম চৌধুরী, মুস্তফা চৌধুরি, প্রশান্ত কুমার বসু, রেজাউল করীম তালুকদার, রূমানা চৌধুরি, ড. মনজুর চৌধুরী, ড. মোজাম্মেল খান, আসিফ মনসুর, সাইদুল হোসেন, আলী আজম খান, আজিজুল মালিক, মোল্লা বাহাউদ্দিন, আকবর হোসেন, সেলিম লিবরা খান, নাহার মনিকা, রোজানা নাসরিন ও সুমী সিকান্দার। এছাড়া বিশেষ সংখ্যায় কবিতা লিখেছেন: হাবিবুল্লাহ সিরাজী, পূরবী বসু, অশোক চক্রবর্তী, তমিজ উদ্দিন লোদী, রেজাউর রহমান, ফকির ইলিয়াস, ফেরদৌস নাহার, রাকীব হাসান, অপরাহ্ণ সুস্মিতো, মাসুদ খোন্দকার, তুষার গায়েন, আঞ্জুমান রোজি, দেলওয়ার এলাহী, সুব্রত কুমার দাস, নাসরীন খান রুমা, রুকসানা লেইস, সুলতানা সাজি, মৌ মধুবন্তী, ঈশাত আরা মেরুনা, রিনি শাখাওয়াৎ ও জাহানারা বুলা। বিশেষ সংখ্যাটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন নীলউৎপল।