জাতীয়

রোহিঙ্গা সমস্যায় আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে

ঢাকা, ১২ অক্টোবর- রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত ফেরত পাঠানো না হলে এ অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে। রোববার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংকে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানিয়েছেন, কিছু রোহিঙ্গা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দু’দল রোহিঙ্গার সংঘর্ষে আটজন মারা গেছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে রোহিঙ্গারা এ এলাকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে। কপবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় অপরাধের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার ফলে দিন দিন রোহিঙ্গা এবং বিদেশি সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর স্থানীয় জনগণের অসন্তোষও ঘনীভূত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য প্রদান এবং জীবনমানের উন্নয়ন এ সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়। বরং তাদের নিজের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

এ ছাড়া আলোচনায় বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা সমাবেশ ঘটানোর বিষয় তুলে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথাও চীনের রাষ্ট্রদূতকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ, আরেকজন নিখোঁজ

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনাকালে চীনের রাষ্ট্রদূত পিরোজপুরে চীনা নাগরিকের হত্যার বিষয় তুলে ধরলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে। এরই মধ্যে ঘটনার প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার এ হত্যার বিচারে অত্যন্ত তৎপর। আলোচনায় করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশে আটকেপড়া চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা নবায়নের বিষয়ে চীন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর জবাবে এ ব্যাপারে চীন সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূত আরও জানান, চীন এরই মধ্যে ব্যবসা ও পারিবারিক পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া শুরু করেছে।

রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে এবং তা খুব শিগগির প্রকাশ হবে। এ সময় রাষ্ট্রদূত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি চিঠি ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে হস্তান্তর করেন। আলোচনায় এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পূনর্ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সূত্র : সমকাল
এম এন / ১২ অক্টোবর

Back to top button