দেশ ছাড়ার আগে যা যা বিক্রি করলেন বেনজীর
ঢাকা, ০১ জুন – জব্দের আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার। তাদের ৩৩টি অ্যাকাউন্টে থাকা অধিকাংশ অর্থই উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ধারণা দুদক অনুসন্ধান টিমের। শুধু তাই নয় ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুবাইয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির তথ্যও পাওয়া গেছে।
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসার পর থেকে তাকে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। দুর্নীতির জন্য তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি উঠতে থাকে। এর পরপরই আড়ালে চলে যান তিনি। পরিবারসহ কোন দেশে রয়েছেন তা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশার। তবে বেনজীরের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের রেকর্ডে উল্লেখ আছে, গত ৪ মে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বেনজীর আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
বেনজীর পরিবারের সম্পদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ধারাবাহিকভাবে তারা বেনজীর পরিবারের নামে-বেনামে নতুন নতুন সম্পদের তথ্য পাচ্ছে। এমনকি ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নামেও সম্পত্তি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে।
নতুন করে সাতক্ষীরায় বেনজীরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও আরেক পুলিশ কর্মকর্তার নামে কয়েকশ বিঘা আয়তনের মাছের ঘের থাকার তথ্য এসেছে দুদকের হাতে। এছাড়া ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুবাইয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার পর তা বিক্রি করে দিয়েছেন বেনজীর; এমন তথ্যও পাওয়া গেছে।
এদিকে সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও তিন মেয়েকে তলব করেছে দুদক। দুদকের চিঠিতে, আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে এবং ৯ জুন তার স্ত্রী জীশান মির্জাসহ সন্তানদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ
আইএ/ ০১ জুন ২০২৪