পদদলনে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৬
নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই – ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় একটি ধর্মীয় আয়োজনে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন কমিটির সদস্যদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ধর্মীয় এই আয়োজনের ধর্মগুরু হতাহতের দায় অস্বীকার করেছে। এছাড়া বর্তমানে তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই ধর্মীয় গুরু নারায়ণ সাকার হরি ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত। তার অনুসারীরাই ওই আয়োজনে গিয়েছিলেন।
ঘটনার পর ভোলে বাবার আইনজীবী এপি সিং বলেছেন, কিছু অসামাজিক উপাদানের কারণে পদদলিতের এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় তার মক্কেল ভোলে বাবার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সেদিন প্রার্থনা সভায় ধর্মগুরু ভোলে বাবাকে দেখতে এসেছিলেন প্রায় আড়াই লাখ ভক্ত। এসময় অল্প জায়গায় বহু মানুষের ভিড়ে দমবন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সভা শেষ হওয়ার পর সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পদদলিত হয়ে ১২১ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের বেশিরভাগই নারী।
উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং বলেন, পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পেছনে বড় একটি কারণ প্রচণ্ড ভিড়। অনেকেই ভিড়ের মধ্যে ভোলে বাবার গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন। তিনি যে পথে হাঁটেন, পূজা করার জন্য সেই পথের মাটি সংগ্রহ করেন অনেকে। এ কারণে একের পর এক মানুষ পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আলিগড় রেঞ্জ) শলভ মাথুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত ৬ জনই ‘সৎসঙ্গে’ স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছিলেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, ভোলে বাবাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তদন্তের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় তার কোনো ভূমিকা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এফআইআর-এ তার নাম উল্লেখ নেই।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যারা অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর জন্য যারা দায়ী তারাই এর আওতায় আসবে।’
সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ
আইএ/ ০৪ জুলাই ২০২৪