মধ্যপ্রাচ্য

প্রথম ধাপে ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল

তেল আবিব, ১৮ জানুয়ারি – ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটাভুটির পর চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তিনটি ধাপে অন্তর্ভুক্ত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপটি ছয় সপ্তাহের তথা ৪২ দিনের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়কালে ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ রয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা তিন ধাপে ৭৩৫ জন ফিলিস্তিনিকে বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর শনিবার সকালে ইসরায়েল সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকার একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরফলে রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন রোববার দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ৯৫ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ৯৫ জনের নামও প্রকাশ করেছে বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে শুরু হবে। সেখানে অবশিষ্ট সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

তৃতীয় ধাপে অবশিষ্ট মৃতদেহগুলোর ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর ১৫ জানুয়ারি গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ১৮ জানুয়ারি ২০২৫


Back to top button