বিচিত্রতা

টার্গেট পূরণ হয়নি, কর্মীদের গলায় চেন বেঁধে অফিসে হামাগুড়ি! ভিডিও ভাইরাল হতেই তদন্তে পুলিশ

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের কুকুরের মতো গলায় চেন বেঁধে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেঝেতে পড়ে থাকা কয়েন জিভ দিয়ে তুলতেও বলা হচ্ছে তাদের। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে নেটদুনিয়ায়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে হাঁটু ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হয়েছে অফিসের মেঝেতে। অনেকেই দাবি করেছেন, ওই সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট টার্গেট পূরণ না করায় সংস্থার তরফে তাদের এভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি কেরালার কাল্লুর এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি সংস্থায় ঘটেছে। অভিযোগ করা হয়েছে পেরামবুভুরের কাছে ওই অপরাধমূলক কাজ হয়েছে। যদিও সংস্থার মালিক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অভিযুক্ত সংস্থার এক কর্মী, যাকে ভিডিয়োতে হেনস্থা হতে দেখা গিয়েছে, তিনি টিভি চ্যানেলের সামনে বলেন, “আমার উপর কোনও অত্যাচার করা হয়নি। আমি এখনও এই সংস্থাতেই কাজ করছি। ঘটনাটি কয়েক মাস আগের, যখন এক নতুন ম্যানেজার এই আচরণ করেছিলেন। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে পদচ্যুত করে। এখন সে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভিডিয়ো ভাইরাল করে বর্তমান ম্যানেজারকে কলঙ্কিত করতে চাইছে।”

ঘটনার গুরুত্ব বুঝে রাজ্যের শ্রম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শ্রমমন্ত্রী ভি সিভানকুট্টু জেলা শ্রম আধিকারিককে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।

এছাড়াও, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিয়েছে। আইনজীবী কুলাঠুর জয়সিং-এর মাধ্যমে এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে কমিশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পুলিশ ও শ্রম দফতর যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। কর্মক্ষেত্রে এমন অমানবিক আচরণের নজির সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে।


Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য