জাতীয়

সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে, প্রশ্ন রিজভীর

ঢাকা, ১৭ এপিল – সংস্কারকে কেন নির্বাচনের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে, সে প্রশ্ন রেখে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে পেলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে এ সময় অভিযোগ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ঠিকমতো ফাংশন করতে পারছে না। পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ করার ঘোষণা তারই প্রমাণ। সরকারের জবাবদিহি হবে জনগণের সেন্টিমেন্টের কাছে, বৈষম্যবিরোধীদের কাছে নয়।

রিজভী বলেন, আজ জনগণের সামনে স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ সরকারই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম আর টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে সিলেট অঞ্চলে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে ইলিয়াস আলী রাষ্ট্রযন্ত্র ও দেশি-বিদেশি অপশক্তির গাত্রদাহের প্রধান কারণ ছিল।

ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর সরকারের এজেন্টরা বহুবিধ নাটক সাজিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুমের ঘটনার পর তার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খুদে বার্তা পাঠিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন এবং ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার আশ্বাস ছিল লোক দেখানো। কারণ ওই সময় বিএনপির পাঁচদিন হরতাল ছিল। আর বিএনপির সে হরতাল ও আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্যই ছিল ওই মিথ্যা আশ্বাস। গুম হওয়ার পরে থানায় জিডি করা হয়, কোর্টে মামলা করা হয়। এরপরও তাকে ফিরিয়ে দেননি শেখ হাসিনা।

বিএনপির এই সিনিয়র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালানোর হাস্যকর নাটক করতে দেখা যায়। উচ্চ আদালতে করা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনার রিট আবেদনের শুনানিও আটকে দেয় সরকার। অর্থাৎ, অদৃশ্য হওয়া নাগরিককে ফেরত দেওয়ার উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বাধাগ্রস্ত করে সরকার। সুতরাং ইলিয়াস আলীসহ সব গুম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়ই হয়েছে। বেআইনি গুম-খুনের উৎসব পালন করে গেছেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সদস্য সচিব আবুল হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৭ এপিল ২০২৫

 


Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য