যেসব কারণে বদলি হজ করানো যাবে
কোনো ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত মক্কায় গিয়ে হজ করে দেশে ফিরে আসা পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর জীবনে একবার হলেও হজ করা ফরজ। হজের সওয়াব ও ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন—
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়। (বুখারি, হাদিস : ২০৬)
কোনো ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হওয়ার পর সক্ষমতা থাকার পরও যদি সেই ব্যক্তি হজ আদায়ে বিলম্ব করে এবং পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তার জন্য বদলি হজ করানোর নিয়ম রয়েছে। অসুস্থতাসহ আরও যেসব কারণ পাওয়া গেলে নিজের পরিবর্তে অন্যকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো যাবে, এখানে তা তুলে ধরা হলো—
১. ফরজ হওয়ার পর আদায়ের সুযোগ পাওয়ার আগেই মৃত্যু এসে গেলে। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি থেকে হজের ফরজ রহিত হয়ে যায়। সুতরাং তার জন্য মৃত্যুর সময় হজের অসিয়ত করে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
২. কেউ জোরপূর্বক আটকে রাখলে বা হজের সফরে যেতে না দিলে।
৩. এমন কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে, যা থেকে সুস্থতা লাভের আশা নেই। যেমন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে, অন্ধ বা খোড়া হয়ে গেলে কিংবা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা এতো বেশি হলে যে, নিজে বাহনের উপর আরোহন করতে পারে না।
৪. রাস্তা অনিরাপদ হলে। অর্থাৎ সফর করতে গেলে যদি জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
৫. নারী তার হজের সফরে স্বামী বা উপযুক্ত মাহরাম পুরুষ সঙ্গী না পেলে।
এসব কারণে ওই ব্যক্তিকে মাজুর বা অক্ষম গণ্য করা হবে এবং সে নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ করাতে পারবে। (মানাসিক, মোল্লা আলী কারী, ৪৩৫; গুনইয়াতুন নাসিক,৩২১)
আইএ