দক্ষিণ এশিয়া

কাশ্মীরে হামলার দায় স্বীকার, কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’

নয়াদিল্লি, ২৩ এপ্রিল – ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুক হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সেখানকার স্বল্প পরিচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের এই গোষ্ঠীর বিষয়ে অতীত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া না গেলেও ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে আলোচনায় এসেছে গোষ্ঠীটি।

• টিআরএফ কারা?
দিল্লি-ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী টিআরএফের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০১৯ সালে। টিআরএফকে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইয়্যেবার (এলইটি) অনুসারী হিসেবে মনে করা হয়।

ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইনের বিভিন্ন ফোরামে কাশ্মির রেজিস্ট্যান্স নাম ব্যবহার করেছে টিআরএফ। মঙ্গলবার ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা।

লস্কর-ই-তইয়্যেবা যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধঘোষিত বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রয়েছে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ের বহুল আলোচিত তিন দিনের প্রাণঘাতী হামলাসহ ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে এই দলটির জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টালের প্রধান আজাই সাহনি বলেছেন, টিআরএফ মূলত লস্কর-ই-তইয়্যেবার একটি শাখা। গত কয়েক বছরে এসব গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান যখন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) চাপে ছিল এবং তারা জম্মু ও কাশ্মিরে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকারের চেষ্টা করছিল, তখন এসব গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে।

• টিআরএফ কী করেছে?
সাহনির মতে, গোষ্ঠীটি এর আগে বড় ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেনি।

তিনি বলেন, লস্কর-ই-তইয়্যেবার অভিযানই মূলত পরিচালনা করেছে টিআরএফ। তারা স্থলে যেখানে হামলা করেছিল সে সম্পর্কে অভিযানের বিষয়ে নির্দেশনা এসেছিল। আর এই নির্দেশনা এসেছিল লস্কর-ই-তইয়্যেবার কাছ থেকে।

• টিআরএফকে নিয়ে কী বলছে ভারত?
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালে দেশটির সংসদে বলেছিল, এই গোষ্ঠীটি জম্মু ও কাশ্মিরের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত।

গোষ্ঠীটি নতুন সদস্য নিয়োগ ও সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্যের চোরাচালানেরও সমন্বয় করেছিল বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গত দুই বছর ধরে ভারতপন্থি বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অনলাইনে হুমকিও দিয়ে আসছে টিআরএফ।

• পাকিস্তান কী বলছে?
ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় ও অর্থ সহায়তার অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান বলেছে, তারা কেবল কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি নৈতিক সমর্থন ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৩ এপ্রিল ২০২৫


Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য