জাতীয়

সর্বপ্রথম সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণাকারী হোটেলকে পুরস্কৃত করবে সরকার

কক্সবাজার, ২৪ এপ্রিল – পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সর্বপ্রথম সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণাকারী হোটেলকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধে কক্সবাজারের সব হোটেল মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, সন্তানদের নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন সস্তা না, এর বিনিময়ে আমাদের কঠিন মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছে, ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

তিনি এসময় পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের বা চটের ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, আদালত উপকূলীয় জেলাগুলোতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন অগ্রগতি মনিটরিং করার জন্য নিয়মিত হোটেলে লোক পাঠাতে ডিসিকে নির্দেশনা দেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মিলে ওয়ার্ক প্ল্যান প্রস্তুত করার নির্দেশনাও দেন।

উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত হলেও, পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। প্লাস্টিক দূষণ শুধু প্রকৃতিকে নয়, পর্যটনকেও হুমকির মুখে ফেলছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে কক্সবাজার একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে পারে।

সভায় তিনি সমুদ্র তট ও আশপাশের এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব তুলে ধরেন এবং তা বন্ধে হোটেল মালিকদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ-সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া হোটেল মালিকদের প্রতিনিধি ছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক কক্সবাজারে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে পরিকল্পনা তুলে ধরেন। হোটেল মালিকরাও প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জমির উদ্দিন প্লাস্টিকের দূষণ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন। তিনি জুলাইয়ের মধ্যে কক্সবাজারের ৫০০ হোটেল ও ৩০০ হোটেলে বাস্তবায়ন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক করার উদ্যোগের কথা জানান।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৪ এপ্রিল ২০২৫


Back to top button