কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত চায় পাকিস্তান
ইসলামাবাদ, ২৬ এপ্রিল – ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগামের সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়েছে পাকিস্তান। যদি সত্যিই আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু হয়, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী দলকে সহায়তা করতেও প্রস্তুত আছে দেশটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, ভারত সিন্ধু নদের পানিচুক্তি বাতিলের অজুহাত হিসেবে পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করছে এবং কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ, তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
“আমরা চাই না যে যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠুক। কারণ এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে সেটি এই পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে,” দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন খাজা আসিফ।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে কাশ্মিরকে পাকিস্তানের ‘গলার ধমনী’ বলে উল্লেখ করে দেশটির সেনাপ্রধান বলেছিলেন, পুরো জম্মু ও কাশ্মির অবশ্যই একদিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হবে।
তার এই বক্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যে, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে। এতে নিহত হন ২৫ জন ভারতীয় এবং ১ জন নেপালি পর্যটক।
হামলার দায় স্বীকার করে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, কাশ্মিরের বৃহত্তম বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বা’র (এলইটি) একটি উপশাখা এই টিআরএফ। প্রসঙ্গত, লস্কর-ই তৈয়বার সঙ্গে একসময় আঁতাত ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর।
তবে সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ জানিয়েছেন, লস্কর-ই তৈয়বা এখন সম্পূর্ণ পঙ্গু ও অকার্যকর একটি গোষ্ঠী এবং পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে ভারতে এত বড় হামলা সংগঠিত করার মতো ক্ষমতা আর গোষ্ঠীটির নেই।
“লস্কর-ই তৈয়বার যারা এখনও জীবিত আছেন, তাদের কেউ কারগারে আছেন, কেউ বা গৃহবন্দি। এই গোষ্ঠীটির কেউই এখন আর সক্রিয় নয় এবং পাকিস্তানে তাদের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতাও নেই,” দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন খাজা আসিফ।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৬ এপ্রিল ২০২৫