ঐকমত্য কমিশন দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে রাজনৈতিক বোঝাপড়া সম্ভব
ঢাকা, ২৯ এপ্রিল – বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আমরা পুরোনো জামানায় ফিরতে চাই না; যে ব্যবস্থায় একটি দলকে চূড়ান্ত কর্তৃত্ববাদী দলে পরিণত করে; দলের নেতৃত্বকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী দুঃশাসকে পরিণত করে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নিয়েছে।
অনেক সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া আছে জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জনপরিসরে কমিন্টমেন্ট ও অঙ্গীকার আছে; সে কারণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে, আশা করি আগামী জুনের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরির মাধ্যমে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে একমত হতে পারবে। এটিই হবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক অর্জন।
তিনি বলেন, এবারের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট হচ্ছে সেই জামানা থেকে পার হয়ে একটি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা শুরু করার, মানুষের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার। ১৬ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, এবারের সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে বিবেচনা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয় যাবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ১৬ বছরের ‘ফ্যাসিবাদ’ বিরোধী লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে সাইফুল হক বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের বিশাল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, তা যেন হতাশা ও দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়, আমরা সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করছি।
এমন একটি সংবিধান দেখতে চাই যেখানে মানুষের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, মতাদর্শ ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে রাষ্ট্র নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না বলেও মন্তব্য করেন গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা। তার মতে, রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে।
‘আমরা এমন একটা সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা দেখতে চাই যেখানে কোনো ব্যক্তি বা দল ইচ্ছা করলে ক্ষমতাকে যা কিছু করার লাইসেন্স মনে করবে না,’ উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। সাইফুল হক বলেন, ক্ষমতার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সাংবিধানিক এবং আইনগত গ্যারান্টি নিশ্চিত দেখতে চাই।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যেহেতু কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, বিশেষ কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই, তাই গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পথে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা পূরণে তারা সঞ্চালক হিসবে ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৯ এপ্রিল ২০২৫