সচেতনতা

মাইগ্রেনের কম পরিচিত সাত কারণ

মাইগ্রেন কেবল মাথাব্যথার চেয়েও বেশি কিছু; এটি জটিল স্নায়বিক সমস্যা যা দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে। মাইগ্রেনের জন্য দায়ী হিসেবে মানসিক চাপ, পানিশূন্যতা এবং ঘুমের অভাবের মতো সাধারণ কারণগুলো বেশ পরিচিত, তবে বেশ কয়েকটি কম পরিচিত কারণ মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে পারে। সেগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. আবহাওয়ার পরিবর্তন

আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন, যার মধ্যে রয়েছে তাপমাত্রার ওঠানামা, আর্দ্রতার মাত্রা এবং ব্যারোমেট্রিক চাপ, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মধ্যে মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বায়ুমণ্ডলীয় চাপের হ্রাস মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে মাইগ্রেনের আক্রমণ হতে পারে।

২. তীব্র সুগন্ধি

সুগন্ধি, এয়ার ফ্রেশনার, পরিষ্কারক পণ্য এবং এমনকী প্রাকৃতিক ফুলের সুগন্ধও কারও কারও ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। অসমোফোবিয়া নামে পরিচিত এই সমস্যা গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

৩. ক্যাফেইন বাদ দেওয়া

ক্যাফেইন কখনো কখনো মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে, হঠাৎ করে বাদ দিলে তা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। নিয়মিত ক্যাফেইন গ্রহণকারীরা যারা তাদের দৈনিক ডোজ মিস করেন তাদের মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে।

৪. কৃত্রিম মিষ্টি

কারও কারও ক্ষেত্রে কিছু কৃত্রিম মিষ্টি, বিশেষ করে অ্যাসপার্টাম, মাইগ্রেনের আক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। এটি নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং মস্তিষ্কে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।

৫. অতিরিক্ত বিমান ভ্রমণের ফলে পানিশূন্যতা

দীর্ঘ বিমান ভ্রমণে শুষ্ক বাতাস এবং পানি গ্রহণের অভাবের কারণে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। পানিশূন্যতা মাইগ্রেনের একটি পরিচিত ট্রিগার। বিমান ভ্রমণেও চাপের পরিবর্তন জড়িত, যা মাইগ্রেনের সূত্রপাতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৬. উজ্জ্বল বা ঝিকিমিকি আলো

অনেকেই জানেন যে কঠোর আলো মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তবে স্ক্রিন, ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব থেকে ঝিকিমিকি আলো, এমনকি পানি থেকে প্রতিফলিত সূর্যালোকও সমস্যার কারণ হতে পারে। এই সংবেদনশীলতা ফটোফোবিয়া নামে পরিচিত, মাইগ্রেনে আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ।

৭. খুব বেশি বা খুব কম ঘুম

যদিও ঘুমের অভাব একটি সাধারণ ট্রিগার, তবে অতিরিক্ত ঘুমও মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখলে তা ঘুম-সম্পর্কিত মাইগ্রেন প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

আইএ


Back to top button