দাখিল পরীক্ষায় মোবাইল দেখে উত্তর লেখার ভিডিও ভাইরাল
বরগুনা, ২৯ এপ্রিল – বরগুনায় চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় একটি মাদরাসাকেন্দ্রে মোবাইল দেখে নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি হল থেকে ধারণ করা ৫৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়।
ধারণকৃত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পরীক্ষার হলে এক পরীক্ষার্থীর লিখিত খাতার প্রথম পৃষ্ঠা থেকে একে একে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ভিডিও করছেন হলে থাকা কেউ একজন। হলে থাকা আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী মোবাইল হাতে দেখে দেখে পরীক্ষায় উত্তর লিখছেন। এ সময় ওই হলে এক শিক্ষককেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তবে হলের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের ভিডিওটি কে ধারণ করেছে তা জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মডেল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে গত ২৩ এপ্রিল নির্ধারিত হাদিস শরিফ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পরীক্ষার্থীরা। পরে ওই কেন্দ্রের একটি হলের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে মোবাইল নিয়ে হলে প্রবেশসহ মোবাইল দেখে পরীক্ষা দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে বরগুনা দারুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব মুহা. মামুন অর রশিদ বলেন, মাদরাসায় কিছুদিন আগে একটি ঝামেলা হয়েছিল। হলে প্রবেশের সময় সকল পরীক্ষার্থীকে চেক করে প্রবেশ করানো হয়। পরিকল্পিতভাবে আমাকে ছোট করতে একটি চক্র ফাঁকফোকরে এ কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আমি কেন্দ্রসচিব থেকে অব্যাহতি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে সহায়তা করব।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মোবাইল দেখে পরীক্ষা দেওয়ার একটি ভিডিওটি দেখেছি। এটি একটি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পেলে বিধি মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৯ এপ্রিল ২০২৫