জাতীয়

ছেলের সঙ্গে ‘মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী’র ফোনালাপ ফাঁস (ভিডিও সংযুক্ত)

ঢাকা, ০৪ এপ্রিল – নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর একটি রিসোর্টে শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সময় তাঁকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পর কয়েক হাজার হেফাজতকর্মী ‘রয়েল’ নামের ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মাওলানা মামুনুলকে মুক্ত করে নিয়ে যান।

তাকে মুক্ত করে নিয়ে গেলেও শনিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মামুনুল হক। এদিকে, আবার গতকাল রাত থেকে মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রীর বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মামুনুল হকের একটি অডিও-ও ভাইরাল হয়ে যায়। আর রোববার মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না ও ওই নারীর ছেলের কথোকোপথনের একটি অডিও ভাইরাল হয়ে যায়। অডিওটি সামনে নিয়ে এসেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি।

ফোনালাপটি জান্নাত আরা ঝর্নার সঙ্গে তার ছেলে আব্দুর রহমানের। ছেলের বয়স ১৭। নয় বছর বয়সে ঝর্নার সঙ্গে হাফেজ শহীদুল ইসলামের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়। শহীদুল্লাহ ও ঝর্না দম্পতির আব্দুর রহমান ও তামীম নামে দুই ছেলে আছে।

আরও পড়ুন : হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না, করা যাবে পার্সেল

ফোনালাপের একপর্যায়ে তাদের তামীমের ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান জানায়, সে তার সঙ্গে দেখা করতে যাবে। এরপর ঝর্না বলেন, আমার সঙ্গে আপাতত দেখা করতে আইসো না। দেখা করতে আরো লেইট (দেরি) হবে।

তখন আব্দুর রহমান বলে, সেই বোঝাপড়া আমরা দু’ভাই করে আসবানে! কোনো সময় দেখা করতে হয় কোনো সময় কি করতে হয়! এরপরই ঝর্না বলে ওঠেন, এখন ঝামেলা দিও না। বহুত ঝামেলার মধ্যে আছি। আর ঝামেলা করিও না।

আব্দুর রহমান বলে, তার জন্য দরদ দেখিও না। সে কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে মাইর খাবে। খুলনা থেকে আসলে। সে কিন্তু জানে না আমরা দুই ভাই। এই কথা শুনার পর ঝর্না বলেন, শুন আজকে আমি মৃত্যুর হাত থেকে বের হলাম। সত্য গোপন থাকে না। আম্মু খারাপ করছে, আরেকজন খারাপ করছে বুঝলাম। কিন্তু তুমি তো ভালো করবা।

এই সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আব্দুর রহমান বলে, ‘আমার ভালো করার দরকার নেই। আমার সঙ্গে কথা বলো না।’ এরপর মা ছেলেকে বলেন, মেজাজ ঠাণ্ড করে পরে ফোন করার জন্য। কিন্তু ছেলে বলে ওঠে, মেজাজ ঠাণ্ড হবে তখন যখন ওনার সঙ্গে দেখা হবে। সেদিন যে কি হবে উনার! আমি মিডিয়ার সামনে বলবো তো, উনি কেমনে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলো। কেমনে বিয়ে করলো। কিসের ইয়েতে! এগুলো মিডিয়ার সামনে বলবো।

সূত্র : পূর্বপশ্চিমবিডি
এন এ/ ০৪ এপ্রিল

Back to top button