ঝলমলে সুন্দর চুলের জন্য শ্যাম্পু করার ৭ ধাপ
একদিন পর পরই শ্যাম্পু করছেন চুলে, বাজারের সবচাইতে ভালো শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন। কিন্তু তবুও চুলগুলো নিষ্প্রাণ ও অনুজ্জ্বল। এমনকি ময়লাও জমে যায় খুব তাড়াতাড়ি। কেন? ভুলটা লুকিয়ে আছে আপনার শ্যাম্পু করার পদ্ধতিতে! হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন। শ্যাম্পু করার সময় আমাদের নিজেদের করা কিছু ভুলেই চুল আপনার পছন্দসই উজ্জ্বলতা পায় না। অন্যদিকে চুলের স্বাস্থ্যহানি তো আছেই। চলুন, ধাপে ধাপে জেনে নেই সুন্দর চুলের জন্য শ্যাম্পু করার ৭টি ধাপ।
১) শুকনো চুলে কিংবা চুল একটু ভিজিয়েই শ্যাম্পু দেবেন না। খুব ভালো করে অনেক খানি পানি দিয়ে চুল প্রথমে ধুয়ে নিন। এতে চুলের আলগা ময়লা অনেকটাই ধুয়ে যাবে। এবং অল্প শ্যাম্পুতেই চুল সুন্দর পরিষ্কার হবে। যত কম শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো চুলের জন্য।
২) চুল ভালো করে ধুয়ে শ্যাম্পু দিন। বেশিরভাগ মানুষই মাথার তালুতে প্রথম শ্যাম্পু দেন, তারপর সেখান থেকে পুরো চুলে। এই কাজটি ভুলেও করবেন না, এটা তালুর চুল পরে যাবে। হাতে শ্যাম্পু মেখে পুরো চুলে মাখুন। সাথে পানিও যোগ করুন।
৩) ভালো করে ম্যাসাজ করুন, বিশেষ করে মাথার ত্বকে। নাহলে চুলের ময়লা পরিষ্কার হলেও ত্বকের রয়ে যাবে।
৪) ম্যাসাজ হয়ে গেলেই চুল ধয়ে ফেলুন। খুব বেশি সময় চুলে শ্যাম্পু রাখলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। খুব ভালো পানি দিয়ে ধোবেন। একটু শ্যাম্পুও যেন জমে না থাকে। এতে চুল উজ্জ্বলতা তো হারাবেই,সাথে চুলও পড়বে প্রচুর।
৫) শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে সবচাইতে ভালো হয় ঘরে তৈরি কন্ডিশনার ব্যবহার করলে। কেননা রাসায়নিক কন্ডিশনার দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে তাতে আপনার চুল পরে যাবে। চিনি ছাড়া ঘন চায়ের লিকার সব চুলেই কন্ডিশনার হিসাবে মানিয়ে যায়। তৈলাক্ত চুল হলে ব্যবহার করতে পারেন এক মগ পানির সাথে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে।
৬) কন্ডিশনার খুব বেশি হলে ৫ মিনিট মাথায় রাখুন। তারপর অতি অবশ্যই অনেক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার সময় চুল শাওয়ারের নিচে বা হ্যান্ড শাওয়ার দিয়ে ধোয়া ভালো। এতে চুল ভালো পরিষ্কার হবে।
৭) চুল ভালো করে মুছে নিন ও বাতাসের নিচে শুকিয়ে ফেলুন। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। এমনিতেই চুল রাসায়নিক দিয়ে ধুয়েছেন, তারপর উত্তাপ দিলে সেটা হবে দ্বিগুণ অত্যাচার করা।
এস সি