দক্ষিণ এশিয়া

গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রীর ফোন থেকে ছড়াল অশ্লীল ভিডিয়ো ক্লিপ!

নয়াদিল্লি, ২০ অক্টোবর- বিপত্তি আর কাকে বলে ! গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের মোবাইল ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অশ্লীল পর্নো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও এ নিয়ে জোরদার চর্চা চলছে। শুধু চর্চা নয়, উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এত কিছু ঘটে গিয়েছে, অথচ, মন্ত্রীর দাবি, তিনি এর বিন্দুবিসর্গ জানতেন না। তাঁর অজান্তে এটা ঘটিয়েছে হ্যাকাররা। কাভলেকর হ্যাকারদের উপর ঘটনার দায়ভার চাপিয়ে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইলেও লোকজনের মুখ তিনি কিন্তু তিনি বন্ধ করতে পারেননি।

গোয়ার বরিষ্ঠ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নারীর শালীনতা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে শাসক বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী জিএফপি।

এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কাভলেকরও পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন। গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যে সময় ওই ভিডিয়ো ক্লিপ হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে সেন্ট হয়েছে, তিনি মোবাইল ফোনের ধারেকাছে ছিলেন না। তিনি ওই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। তাই কী করে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল , তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগ, তাঁর ফোনটি নিশ্চিত ভাবেই হ্যাকড হয়েছে। হ্যাকাররাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। সূত্রের খবর, গোয়া পুলিশের অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী।

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য। সেখানে ‘ভিলেজেস অফ গোয়া’ নামে নির্দিষ্ট একটি গ্রুপে ওই অশ্লীল ভিডিয়োর ক্লিপ পাঠানো হয়েছে। এতে বোঝা যায়, আমাকে ফাঁসাতে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করেছে। এ জন্য় আমার ফোনটিও তারা হ্যাক করে।

গ্রুপের মধ্যে এমন অশ্লীল পর্নো ভিডিয়ো দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে জিএফপির মহিলা শাখা। হোয়াটসঅ্যাপের উল্লিখিত গ্রুপে সরকারি কর্তাব্যক্তি, সমাজকর্মী অনেকেই রয়েছেন। এই গ্রুপে এমন ভিডিয়ো শেয়ার যৌন হয়রানির শামিল। ২০২০ সালের আইটি আইনের ৬৭ ও ৬৭এ ধারায় এবং আইপিসির ৩৫৪এ ধারায় গোয়ার উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানায় জিএফপি।

জিএফপি’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ক্লারা রডরিগসেস বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে এই ধরনের নেতা থাকতে পারেন না।’ বিজেপির মহিলা নেত্রীরা এ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ আঁটায়, তারও সমালোচনা করেন ক্লারা। তাঁর কথায়, ‘সবকিছু দেখেও মুখ বন্ধ রাখা মানে, এই ধরনের ঘটনায় উত্‍‌সাহিত করা।’

আরও পড়ুন:  লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাকে আটক করল ভারত

কাভলেকরের বক্তব্য, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বার তাঁর মানহানির চেষ্টা করা হয়েছে। জনগণের সামনে তাঁর একটা বাজে ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এই ঘটনায় লিপ্ত, আমি চাই তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।

জিএফপি’র দাবি, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্তকে এই ঘটনায় কাভলেকরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

সূত্র: এইসময়

আর/০৮:১৪/২০ অক্টোবর

Back to top button