অপরাধ

চোখের পলকে সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম কানাডা চলে আসেন

৮২ ব্যাচের তারকা আমলা আবু আলম শহীদ খান। যতোটা না আমলা, তার চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয়েই পরিচিত বেশী। রাজনৈতিক পরিচয়ের যোগ্যতায় যারা প্রশাসনের শীর্ষ পদ পেয়েছেন, তাদের তালিকায় আবু আলম শহীদ খানের নাম শীর্ষে। ২০০৯ সালে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে চোখের পলকে তিনি সচিব হয়ে যান। তেমনি এখনও চোখের পলকে চলে যান কানাডা। কানাডা যেন পাশের বাড়ী। আবু আলম শহীদ খানের স্ত্রী, কন্যা এবং পালিত পুত্র স্থায়ী ভাবে কানাডায় থাকেন। তিনি যখন তখন কানাডায় আসা যাওয়া করেন।

প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সরকারী চাকরী গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই ড: মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়ের সহকারী সচিব হিসেবে থাকার সময় দুর্নীতির মামলায় জড়িয়ে যান। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এলে আবু আলম শহীদ খান, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদেন। প্রশাসন ক্যাডারের কর্তা হয়েও তথ্য ক্যাডারের পদে কিভাবে গেলেন, সেও এক বিস্ময়। তবে, এখানে বেশীদিন থাকতে পারেননি। বিএনপি মন্ত্রী ড: খন্দকার মোশারফ হোসেনের এক দুর্নীতি মামলায় তার নাম আসে। ফলে সামায়িক ভাবে বরখাস্ত হন।

আরও পড়ুন : কানাডায় টাকা পাচারে সরকারি প্রকৌশলীরা শীর্ষে

সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় ছেদ পড়তে দেননি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আবু আলম শহীদ খানের ম্যাজিক শুরু হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সচিব হন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি অবসরে যান। তিনি আশা করেছিলেন, সরকার তাকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেবে, কিন্তু দেয়নি। এখান থেকেই সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরী হয়। চাকরী থেকে অবসরের পর একজন সুশীল হিসেবে তিনি সরকারের সমালোচক হয়েছেন।

২০১২ সাল থেকেই তার পরিবার কানাডায় পাড়ি জমান। তার পরিবারের সবাই এখন কানাডার নাগরিক। একজন সরকারী কর্মকর্তার পরিবার কিভাবে কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হলেন, সে এক প্রশ্ন বটে!

Back to top button